অনলাইন ডেস্ক
এয়ারলাইনসগুলোর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৯৫ ভাগ টিকিট এর মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। যেগুলো এখনও বিক্রি হয়নি সেগুলোর দামও বেশি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার,যা শাটডাউন নামে পরিচিত চেয়েছে।এই শাটডাউনে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটও।
তবে ঈদ সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসহ অন্যান্য গণপরিবহন।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ জুলাই সারা দেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছরই দুই ঈদে পরিবারের সঙ্গে উৎসব পালনে লাখ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়েন।
শহর থেকে যারা বাড়িতে যাচ্ছেন তাদের মাঝে খুব বেশি স্বস্তি নেই।২৩ তারিখ থেকে আবার শাটডাউন আরোপ করবে সরকার। ফলে ঈদের পরদিনই ফেরার তাগিদ থাকছে অধিকাংশ মানুষের।
শাটডাউনে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসহ অন্যান্য গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ঈদের পর দিন তথা ২২ তারিখ না আসতে পারলে বাড়িতে আটকা পড়ার শঙ্কা রয়েছে অনেকের।
এয়ারলাইনসগুলো ২২ জুলাই পর্যন্ত যে ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতিদিন ঢাকা হতে চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে তিনটি, কক্সবাজারে দুটি, যশোরে দুটি, সিলেটে দুটি, রাজশাহীতে একটি এবং বরিশালে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে।
বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ারের ফ্লাইট রয়েছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, যশোরে ছয়টি করে, বরিশালে চারটি, সিলেটে তিনটি, রাজশাহীতে তিনটি এবং কক্সবাজারে দুটি করে।
আর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ফ্লাইট ঘোষণা করেছে দৈনিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঁচটি, কক্সবাজারে দুটি, সৈয়দপুরে সাতটি, যশোরে ছয়টি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে চারটি করে ফ্লাইট।
প্রতিবছর নির্ধারিত সূচির বাহিরেও যাত্রী চাপের মুখে ঈদের আগে আগে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পায় এয়ারলাইনসগুলো। কিন্তু এবার করোনার কারণে আর তা হচ্ছে না।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিপণন ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা থেকে যাওয়ার প্রায় সব টিকিটই বিক্রি শেষ। ২০ ও ২১ জুলাইয়ের কিছু টিকিট রয়েছে।
‘আমরা দেখছি এবার চাপ সবচেয়ে বেশি সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে। কক্সবাজারে পর্যটন নিষিদ্ধ থাকায় সেখানে স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। চট্টগ্রামেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই চাপ দেখা যাচ্ছে।’
কামরুল ইসলামের মতে, লকডাউনে অনেকেই ঢাকায় আটকা পড়েছিলেন তাদের একটি বড় অংশ আকাশপথে রাজধানী ছাড়ছেন। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ।
দেশি এয়ারলাইনসগুলো টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও) নির্দেশনা অনুসরণ করে থাকে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ফ্লাইটের টিকিটগুলোকে বেশ কয়েকটি স্লটে ভাগ করা হয়। একেক স্লটের ভাড়াও হয় একেক রকম। ঈদের আগে এখন যে টিকিটগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সবই বেশি দামের স্লটের টিকিট।
নভো এয়ারের বিপণণ বিভাগের প্রধান মেসবাহ উল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সবগুলো রুটেই চাপ রয়েছে। লো এন্ডের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন কিছু হাই এন্ডের টিকিট বাকি রয়েছে।
তবে এই চাপ কিন্তু একমুখী। অর্থাৎ ঢাকা থেকে যে ফ্লাইটগুলো যাবে সেগুলো অলমোস্ট ফুল। কিন্তু আসার ফ্লাইটে পর্যাপ্ত সিট ফাঁকা রয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা