অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রেস কাউন্সিল দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। গণতন্ত্রকে সংহত করা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সংহত করা, বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে সংহত করা শুধু সরকারি দলের দায়িত্ব নয়। এ দায়িত্ব সব রাজনৈতিক দলের এবং যারা বিরোধী রাজনীতি করেন তাদেরও। সে দায়িত্ব পালন করতে বিএনপি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না বিধায় অতীতে প্রেস কাউন্সিলসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।’
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য দৈনিক প্রভাতের সম্পাদক মুজাফফর হোসেন পল্টু, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বক্তব্য রাখেন। প্রেস কাউন্সিল সদস্য সেবীকা রানী, ড. উৎপল কুমার সরকার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ যখন অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিএনপি তখন সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করছে। তারা যখন দেখল যে, সার্চ কমিটি সমাজের সমস্ত মানুষের সঙ্গে আলোচনা করছে, এমনকি তাদের পক্ষে যারা কথা বলে তারাও সেখানে আলোচনায় গেছে, তখন মির্জা ফখরুল সাহেবরা হতাশা থেকে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে বক্তব্য রাখছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ করব, সরকারের সমালোচনা না করে তারা বিরোধী দল হিসেবে কতটা ব্যর্থ, তারা তাদের কর্মীদের কাছে কতটা ব্যর্থ, সেটি আয়নায় দেখার জন্য। আসুন সবাই মিলে গণতন্ত্রকে সংহত করি, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে সংহত করি, আমাদের বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে সংহত করি।’
প্রেস কাউন্সিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মনে করেন যে, আমাদের এই বহুমাত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিকাশে গণমাধ্যমের বিকাশ প্রয়োজন, স্বাধীনতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজন দায়বদ্ধতাও। সেই দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছেন। প্রেস কাউন্সিল একটি জুডিশিয়াল বোর্ড, এর মুখ্য কাজ হচ্ছে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা গোষ্ঠি যদি কোনো সংবাদের জন্য সংক্ষুব্ধ হয়, তখন প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করলে কাউন্সিল সেটি নিষ্পত্তি করবে। এছাড়া, সাংবাদিকতার নীতিমালা নিয়েও কাউন্সিল কাজ করছে। এ কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করতে প্রেস কাউন্সিল আইনকে যুগোপযোগী করে মন্ত্রণালয় খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। এটি পাস হলে কাউন্সিল আরও কার্যকর সেবা দিতে পারবে।’
এ সময় গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর সেটি কমিটিতে যাবে। কমিটি চাইলে যেকোনো পরিবর্তন করতে পারে। ফেরত পাঠানোরও ক্ষমতা আছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে যেটি দরকার, সেটি অবশ্যই করা যাবে।’
তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম এর সুফল পাবে।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা