বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য তিনমাসব্যাপী বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায় ।
রেজিস্টেশনের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণে শতাধিক কোরীয় বাংলাদেশি প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট’স ইন সাউথ কোরিয়ার আয়োজনে এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের পিএইচডি গবেষক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। দেশেও এর দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে।
প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। যার ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা কাজে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনে শিক্ষার অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিগত শিক্ষা। প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি লক্ষ্যে আমাদের এই প্রয়াস।
আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ মাধ্যম তথ্য-প্রযুক্তি। যা আমাদের জীবনকে আগের তুলনায় কেবল সহজই করেনি বরং এটি শিক্ষা, বিনোদন, স্বাস্থ্য এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই প্রযুক্তি। এর যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে ঠিক তেমনি নেতিবাচক দিকও রয়েছে।
ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় হুমকি নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তায় বিভিন্ন সাইবার কৌশল অনুসরণের পাশাপশি সচেতনতা বেশি জরুরি। সেই সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আইটি প্রশিক্ষণের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা