বিএসএমএমইউতে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ডায়াবেটিক প্যাশেন্ট এডুকেশনের উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)তে ডায়াবেটিক রোগী ও রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ডায়াবেটিক প্যাশেন্ট এডুকেশন এর উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। শনিবার, ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বহির্বিভাগ ভবন ১-এ ৫ম তলায় ৫০৯নং কক্ষে উপাচার্য এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আবুল হাসানাত, সহকারী অধ্যাক ডা. শাহাজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রোগী ও তাঁদের স্বজনদের জন্য মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই শিক্ষা কার্যক্রম দেয়া হবে। আগামীতে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১ পর্যন্ত এই সেবা দেয়া হবে। ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের (এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ) উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জনগণের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে কোনো ধরণের ট্যাক্স না নিয়েই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। দেশের ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। অধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আরো ১ কোটি। গর্ভবতী মায়েদের প্রতি চার জনে একজনই ডায়াবেটিক রোগী। এত বিশাল সংখ্যক রোগীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম রোগীদের রোগ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরো বলেন, ডায়াবেটিসের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে ও রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস শিক্ষার কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। এই শিক্ষা কার্যক্রম চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ও সর্বঘাতী রোগকে মোকাবেলা করতে রোগীদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। যাঁদের এখনও ডায়াবেটিস হয়নি তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান, সঠিক, আর্দশিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকেই রক্ষা করা সম্ভব। এটাই হতে পারে রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম পদ্ধতি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা