অনলাইন ডেস্ক
এবারের এই সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘ইস্পাহানি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ-২০২২, পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন।’
লোগো উন্মোচন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ (টিটু), টাইটেল স্পন্সর ইস্পাহানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) ওমর হান্নান, পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ও সিএমও মো. ফিরোজ আলম, ইমপ্রেস মাত্রা কনসোর্টিয়ামের খন্দকার আলমগীরসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ। তারা আমাদের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষক। সব সময় ক্রিকেটের সঙ্গে আছে। এবারও তারা যথারীতি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজে পাওয়ার স্পন্সর হিসেবে আছে।’
এর আগে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশের মাটিতে কোনো সিরিজে বহুদিন পর আমরা ইস্পাহানির মতো প্রতিষ্ঠানকে পাশে পেয়েছি। তারা অনেক ফরেন ট্যুরে আমাদের পাশে ছিল। এবার তারা বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ক্রিকেট সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। আপনারা জানেন এবারের এই সিরিজটি চট্টগ্রামে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হচ্ছে। এরপর ঢাকায় হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।’
ইস্পাহানির জেনারেল ম্যানেজার ওমর হান্নান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে বহু বছর পর ইস্পাহানি বাংলাদেশের কোনো সিরিজে স্পন্সর করতে যাচ্ছে। যখন বাংলাদেশে জাতীয় ক্রিকেট শুরু হয়, যখন স্পন্সর খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল, সেই সময় ইস্পাহানি বাংলাদেশ দলের স্পন্সর হয়েছিল। তখন যশোরে, চট্টগ্রামে- দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলা হতো। কিন্তু দর্শক পাওয়া যেত না। এরপর আস্তে আস্তে ক্রিকেট জনপ্রিয়তা পেলো। আমরা আসলে সেই থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষাভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। মাঝে নন ট্রেডিশনাল খেলাধুলার পাশে ছিলাম অনেক বছর। ধন্যবাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমাদেরকে এই সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ও সিএমও মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘আপনার জানেন ওয়ালটন সব সময় ক্রিকেটের সঙ্গে ছিল। ইস্পাহানি ক্রিকেটকে শুরুর দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আমরা আছি এখন। দেশটা কিন্তু আমাদের। সুতরাং আমাদের উচিত ক্রিকেটটাকে তৃণমূল থেকে গড়ে তোলা। আজকে আমরা ক্রিকেটার সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলি। কিন্তু আমরা যদি জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে তৃণমূল ক্রিকেটে নজর না দিই তাহলে জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটার সংকট কাটবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান এসেছে এমন একটা সময়ে যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের কিছুটা ঝড়-ঝঞ্ঝা যাচ্ছে। আর আফগানিস্তান আসলেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একটু উত্তেজিত হন। আশা করছি শীতের এই শেষের দিকে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ উত্তাপ ছড়িয়ে দিবে। ওয়ালটনের কেটলিতে গরম পানি হবে আর ইস্পাহানির চা সেখানে দিয়ে সবাই খেলা উপভোগ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।’
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে সিরিজের তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম ওয়ানডে। একদিন বিরতির পর ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। আর তৃতীয় ওয়ানডে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ম্যাচগুলো শুরু হবে বেলা ১১টায়।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় হবে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথমটি হবে ৩ মার্চ। দ্বিতীয়টি ৫ মার্চ। ম্যাট দুটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা