অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ২টায় জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে নুরুল হোছাইন (৪৫) বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। এতে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ১৬ জনই পুলিশের সদস্য। অন্যান্য ৭ জন চৌকিদারসহ স্থানীয় প্রভাবশালী।
অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই দিপক বিশ্বাস, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জামসেদ আহমদ, ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহা, এসআই দীপংকর কর্মকার, এএসআই হিল্লোল বড়ুয়া, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই সনজিৎ দত্ত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, ড্রাইভার জহির, কনস্টেবল হৃদয়, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল সৈকত, ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল প্রসেনজিৎ, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল উদয়, হ্নীল সিকদার পাড়ার মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে নুরুল আমিন প্রকাশ নুরুল্লাহ দফাদার, একই এলাকার মৃত আবু শামার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, নাটমুরা পাড়ার নজির আহমদের ছেলে নুরুল হোছাইন, সিকদার পাড়ার আলোর ছেলে ভূট্টো, মৃত তোফায়েল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ননাইয়া, পূর্ব পানখালীর আবুল হাশেমের ছেলে নুরুল আলম, মৃত নবী হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন।
নুরুল হোছাইন বাদি হয়ে দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, প্রবাস থেকে ফেরত আসার পর পুলিশ তার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলেও ৩১ মার্চ তার ভাইকে হত্যা করা হয়।
বাদির পক্ষের আইনজীবী মো. কাসেম আলী জানান, এজাহারটি পর্যালোচনা করে আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করার মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। বাদি নুরুল হোছাইন জানান, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন সময় কোন মামলা ছিলনা।
পরিকল্পিতভাবে তারভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশের পক্ষে ধারাবাহিক হুমকি প্রদান করা হয়। নিরাপত্তার কারণে এতদিন মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন সুযোগ হয়েছে তাই মামলা করেছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা