অনলাইন ডেস্ক
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার সন্ধ্যায় কোনো একটি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে মোসলেউদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁওয়ে একটি হারবাল ওষুধের দোকান চালাতেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিন। সেখানেই ভারতীয় একটি বিশেষ সংস্থার অভিযানে আটক হন তিনি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আটক হন বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আব্দুল মাজেদ। তার কাছ থেকেই তথ্য পেয়ে মোসলেউদ্দিনকে আটক করা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের শীর্ষ সংস্থার অভিযানে বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেউদ্দিনকে আটক করা হয়। এ অভিযানের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে কোলকাতা পুলিশ। তবে ভারত এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো মোসলেউদ্দিনকে আটক এবং হস্তান্তরের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হানা দেওয়া দলটির সামনের সারিতে ছিলেন মোসলেউদ্দিন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করলে মোসলেউদ্দিন দেশ থেকে পালিয়ে যান। তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন। মোসলেউদ্দিনের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ভারত থেকে আটক হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মোসলেউদ্দিন আটক হলে বঙ্গবন্ধুর আরো চার খুনি পলাতক থাকলেন। তারা হলেন খন্দকার আব্দুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী ও এএম রাশেদ চৌধুরী। এর আগে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। এছাড়া আজিজ পাশা নামের আরো এক আসামি ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা