অনলাইন ডেস্ক
নিহত ছোটন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের রমজান আলী মিস্ত্রি বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইফতারের আগমুহূর্তে মতিগঞ্জ সিএনজি স্টেশনের সামনে নিলয় স্টোরের মালিক নিলয়ের সঙ্গে দোকানে বাকি লেনদেন নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় ছোটন। কিছুক্ষণ পর নিলয়ের বড় ভাই আরিফুর রহমান হৃদয় দোকানে এসে ছোটনের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে হৃদয় দোকান থেকে ছুরি নিয়ে ছোটনের বুকে আঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় ছোটনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজীর মতিগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে ছোটন ও হৃদয় একসঙ্গে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছিল। ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখত নিহত ছোটন। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ছোটন ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিল না। তবে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল।
নিহতের বড় ভাই আরমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইফতারের আগে মতিগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে হৃদয় আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানতে পারি। পরে হাসপাতালে এসে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত ছোটন ও অভিযুক্ত হৃদয় দুঃসম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এ ঘটনায় মামুন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা