অনলাইন ডেস্ক
দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, ফলের বাগান। এর মাঝে মাঝে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে উত্তরায়ণ আমানা সিটির। সাইনবোর্ডে লাগানো হয়েছে প্লট বিক্রির বিজ্ঞাপন। ৬ হাজার একর জমিতে এই আবাসন প্রকল্পের অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধার কথা লেখা তাতে।
আমানা গ্র“প নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান ফসলের মাঠকে ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’ নামে আবাসিক প্রকল্প করছে। গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করতে নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে আমানা গ্র“প। কিন্তু জমির মালিকরা কিছুই জানে না। তাদের অভিযোগ, চাষের জমি তারা কারও কাছে বিক্রি করেনি। কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’ প্রকল্পটির অনুমোদনই নেই। কিন্তু চুক্তিপত্র করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে প্লট। চুক্তির অনেক শর্ত গ্রাহকদের কাছেও অস্পষ্ট। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। কিন্তু তদের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি আমানা গ্র“প। আবার টাকা ফেরত চেয়েও পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসন শামীম আহমেদ বলেন, কৃষি জমিতে আবাসন প্রকল্প গড়তে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। অন্য কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কথাও জানা নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী দুই একরের বেশি জমিতে আবাসিক প্লট করতে অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। তবে আরডিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতউল্লাহ ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাছে কোন আবেদনই করেনি আমানা গ্র“প।
প্লট বাণিজ্য করলেও উত্তরায়ণ সিটিতে কোনো গ্রাহককে দাগ বা খতিয়ান নম্বর দেয়া হয়নি। এনিয়ে আমানা গ্র“পের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা