অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্রতিদিন ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। আজ ঢাকা ও আশপাশের স্টেশন থেকে ৬৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৪৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন রয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে থাকা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মো. রাসেল মিয়া বলেন, ট্রেনে আমি কোনো আসন পাইনি। একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনেছি। ট্রেনে তেমন কোনো ভিড় নেই। ট্রেনের অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে পারছি, এমনটা আগে কখনও ঈদে দেখিনি।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে কড়াকড়ি টিকিট চেকিং আর টিকিট যার ভ্রমণ তার নীতির কারণে পঞ্চম দিনেও স্টেশনে শৃঙ্খলা দেখা গেছে।
এই বিষয়ে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আগামী দুই দিন ট্রেনে যাত্রী চাপ আরও বাড়তে পারে। এজন্য অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এখন পর্যন্ত যেভাবে টিকিট চেকের পর যাত্রীরা প্লাটফরমে ঢুকছে, আশা করি সামনের দুই দিনেও সেটি থাকবে।আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিন আজ। বিগত চার দিনের তুলনায় আজ কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিং এর আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারো কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।
যাত্রীদের প্রত্যাশা, সারা বছর যদি রেলওয়ে এমন সার্ভিস দেয় তাহলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশনে চলে আসায় প্লাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী গোলাম সারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেনেছি ট্রেনটি ছাড়তে ১৫ মিনিট বিলম্ব হবে। এ নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্টেশনে আসতে পেরেছি এবং ট্রেনে উঠতে পেরেছি।
তিনি বলেন, লালমনিরহাট অনেকটা দূরের পথ। ঈদ ছাড়াও যে কোনো সময় এই পথে বাসে যাতায়াত অনেক কষ্টকর। ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই সেখানে যাওয়া।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আমির হোসেন সিফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেন একমাত্র ভরসা। যমুনা সেতুতে যে পরিমাণ গাড়ির জট হয় ঈদের আগে এটি খুবই ভোগান্তির। এ বছর খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে।
জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরো বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা