অনলাইন ডেস্ক
এতে বলা হয়েছে, রোববার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, বৈঠকে বর্তমানে দেশে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূলে নয় তথাপি স্থানীয় পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ২৫টি পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হয়।
গত ২ সপ্তাহে বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্বে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকারের ক্ষমাহীন উদাসীনতা ও ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও পরীক্ষার হার অত্যন্ত সীমিত। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যা কম দেখানোর ফলে সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না।
‘হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত থাকায় মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ ও ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ শয্যার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়াতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। ঢাকার বাইরেও মহানগর, জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে আইসিইউ বেড নেই বললেই চলে।’
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সরকার প্রায় ১ বছর সময় পেয়েও সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারের চরম ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, উদাসীনতা, দুর্নীতি এবং জনগণের জীবনের মূল্য না দেওয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সভা মনে করে।
সভা আরো মনে করে, অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে জেলা, উপজেলা এবং ঢাকাসহ সকল মহানগর পর্যায়ে কোভিড-১৯ সহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুত ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশে চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। অনেক দেশের সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। দূর্ভাগ্য জনকভাবে বাংলাদেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তা স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছে না। বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিভ্রান্তি মূলক তথ্য তুলে ধরছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতার কারণে জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা