অনলাইন ডেস্ক
দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মওসুম, এ বছর উৎপাদনও ভালো হয়েছে। সরকারি হিসেবে বছরে ২৫ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে এ বছর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টন। পঁচে নষ্ট হওয়ার পরেও এই পরিমাণ পেঁয়াজে খুব বেশি ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
রাজধানীর শ্যামবাজারের সব আড়তেই বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ। বাজারে ২ মাস আগেও যে পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। দু’দিন আগে কোথাও কোথাও একশ টাকা ছাড়িয়ে যায়।ভরা মওসুম ও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার পরেও হঠাৎ কেন পেঁয়াজের কেজি একশ’ টাকায় উঠলো?
ঢাকার আরতদাররা জানান, পাইকারি ব্যাপারিরা তাদের কাছে পেঁয়াজ দিয়ে ৮৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বলেছে। এর পক্ষে ব্যাপারিদের ক্রয় রিসিট বা ভাউচার দেখায় আড়তদাররা।
এই বক্তব্যের জের ধরে বৈশাখীর টিম ব্যপারিদের কাছে যায়। দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ি জেলা। রাজবাড়ির ব্যাপারিরা জানান, গত শুক্রবার তারা বাজারে কৃষক থেকে ৩৫শ’ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনেছে। তাতে কেজিপ্রতি দাম হয় ৮৭ টাকা।
তবে রাজবাড়ির কৃষক হুমায়ুন বৈশাখীকে জানান, মঙ্গলবার তিনি ২৪৬০টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেনে। তাতে প্রতি কেজির দাম হয় ৬১ টাকা।
দামের এই তারতম্যের জন্য বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, সরকারি কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও অসাধু চক্রের কারসাজি দেখেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ।
এদিকে, সরকারে অনুমোদনের পর সোমবারই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে দামও কমছে। ঢাকার পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ কেনাবেঁচা হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা