অবিলম্বে অনশনরত পাটকল শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে রাষ্ট্রায়ত্বখাতে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন ও পাটকলের আধুনিকায়ন করে পাটশিল্প রক্ষার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি, দেশের শীর্ষ শ্রমিক নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, সদস্য রতন মিয়া।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ।
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব ৭৫টি পাটকল থেকে সরকারের বেসরকারি নীতির ফলে বর্তমানে ২৫টি কারখানা কোন মতে টিকে আছে। যে পাটকল এক সময় দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত ছিল, দেশের গৌরব ছিল; আজকে তা সরকারের ভূলনীতি ও দুর্নীতির কারণে ধ্বংস হতে চলেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাটকলগুলো চলছে শত বছরের পুরনো মেশিন দিয়ে। যার উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক কম। শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাটকল আধুনিকায়ন করে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পাটের বহুমুখী উৎপাদনের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু সরকারের বেসরকারিকরণ নীতির ফলে তা করা যাচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটখাতকে অলাভজনক ও দেশের অর্থনীতির জন্য ঝুকিপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্যই সরকার ধীরে চলনীতি গ্রহণ করছে। সরকারের এই চক্রান্তমূলক নীতির কারণে পাটকল শ্রমিকদের মজুরি মাসের পর মাস আটকে রাখা হচ্ছে।
তারা বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি আজও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সরকার পাটকল শ্রমিকদের সাথে চুক্তি করেও তা বাস্তবায়ন করছে না। ইতোমধ্যে বকেয়া মজুরি ও মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনশনে ২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু সরকার এক দেশে দুই নীতি নিয়ে চলছে।
নেতবৃন্দ বলেন, সরকারি কমকর্তা-কর্মচারিরা দেশে সরকারি কোন উৎপাদন কর্ম না করেও ২০১৫ সাল থেকে পে-স্কেলে নতুন বেতন পাচ্ছেন, কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের শ্রমিকরা উৎপাদনমুখী কর্মকা- করেও ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি কাঠামো পাচ্ছে না।
বক্তারা অবিলম্বে পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধ, ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন এবং পাটকল আধুনিকায়ন করে পাটশিল্পকে দুর্নীতি-লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা করার দাবিতে দেশের সকল শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
লাল সবুজের কথা’র ফেসবুজ পেজ লাইক করুন।
আরও পড়ুন : বৈদেশিক সরকার, সুশীলসমাজ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বিদেশে মুজিববর্ষ পালনের নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা