নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (জিসিএম) বাস্তবায়ন করতে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সরাকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিষেশজ্ঞরা ।
মঙ্গলবার ( ২৬ নভেম্বর) ঢাকার এক হোটেলে জিসিএম নিয়ে একটি কর্মশালায় এমন কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্ক এই কর্মশালার আয়োজন করে।
২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাআন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয় নিয়ে একসাথে আলোচনায় বসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন ফর রিফিউজিস এন্ড মাইগ্রেন্টস’ গ্রহন করে। ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র এটাও অনুভব করে যে, বিশ্বব্যাপী মানুষের চলাফেরা এবং ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার জন্য একটি ব্যাপক উদ্যোগ ও কাঠামো প্রয়োজন।
এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, দায়িত্ব-বন্টন, বৈষম্যহীনতা, এবং মানবাধিকারের মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে ২০১৮ নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (জিসিএম) স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে বলা হয়, অভিবাসনের সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সুবিধা বড়ানোর জন্য একটি সহযোগিতামূলক মানুষিকতা প্রয়োজন। যেটি একজন ব্যক্তির অভিবাসন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে।
একইসাথে চুক্তিটি কোন একটি অভিবাসী গোষ্ঠির নিজ দেশ, যে দেশ দিয়ে যাচ্ছেন ও যেখানে যাচ্ছেন তার সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করবে। বৈশ্বিক এই চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা মন্ত্রনালয় দ্বারা পরিচালিত হলেও এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং পরবর্তীতে করনীয় বিষয় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং অন্য যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানেরবিস্তারিত ধারণা থাকা দরকার।
এই পটভূমিতে এই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়। যেখানেজিসিএম নিয়েসবশেষ পরিস্থিতি, বিষয়টি নিয়ে সামাজীকিকরণ বৃদ্ধি এবং বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
এই কর্মশালাটি বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্কের সদস্যবৃন্দ, উন্নয়ন অংশীদার, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গবেষক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনীধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর চীফ অফ মিশন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর গিওরগি গিগাউরি বলেন, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের সুবিধার্থে সকল স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জিসিএম-এর উদ্যেশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
একই সাথে আন্তর্জাতিক এই চুক্তিতে যেনির্দেশন নীতি আছে সেগুলো আমাদের মানতে হবে। জিসিএম বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অভিবাসী, নাগরিক সমাজ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বেসরকারী খাত এবং অভিবাসন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানেরসহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা