অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ৬ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ ৪০ দিন বেলভিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রয়াত এই অভিনেতা।
এর আগে বুধবার ৮৫ বছর বয়সী এই অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিলো। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সফলভাবে সারা হয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রক্ত থেকে প্লাজমা শোধনের কাজ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ‘প্লাজমাফেরেসিসের পর অশীতিপর অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই আছে। প্লাজমাফেরেসিসের সময় কোনও সমস্যা না হলেও বিকেলের দিকে তার হৃদস্পন্দন আচমকা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল এবং তখনই কিছুক্ষণের জন্য তার সামগ্রিক শারীরিক অবস্থা বেশ অস্থির হয়ে পড়েছিল।’
প্রায় সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা জগত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার রুপালি সফর শুরু হয়, ১৯৫৯ সালে। ছবির নাম অপুর সংসার, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। সেই পথচলা শুরু এই জুটির। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ৩৪টি ছবির ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যা বিরল প্রাপ্তি।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৬১ বছর দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ারে প্রায় ২৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
নাট্যশিল্পী হিসেবেও তাঁর দেশজোড়া কদর। তাঁর কর্মজীবন শুরু আকাশবাণীতে, ঘোষক হিসেবে। তাঁর আবৃত্তি মন ভরিয়েছে আপামর বাঙালির। আবৃত্তির পাশাপাশি কবিতা রচনাও করেছেন তিনি। করেছেন পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।
তিন শতকের বেশি ছবিতে সুচিত্রা সেন, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, মমতাশংকর থেকে গার্গী রায়চৌধুরির মতো প্রচুর নায়িকার নায়ক তিনি।
১৯৩৫ সালে কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাবা মোহিত কুমার চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের উকিল ছিলেন। তবে নাটকের চর্চা নিয়মিত ছিলো পরিবারে। বাবা নাটকের দলে অভিনয় করতেন। ছোট থেকেই সেই পরিবেশে বড় হওয়া তাঁর। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান সৌমিত্র। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে প্রথমে আইএসসি এবং পরে বিএ অনার্স (বাংলা) পাস করার পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টস-এ দুবছর পড়াশোনা করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা