অনলাইন ডেস্ক
মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বেলা ১১টায় টিকা কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়ান তিনি। পৌনে ১২টায় টিকার কার্ড নিয়ে তিনি নির্ধারিত কক্ষে টিকা নিতে যান। এ সময় কর্তব্যরত নার্স তাকে টিকা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে আবার টিকা দেওয়া হয়।
মমতাজ বেগম বলেন, আমি টিকা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে টিকার কার্ড জমা দেই, পরে আমি মহিলা কক্ষে প্রবেশ করে একটি বেঞ্চে বসি। আমার আগে আরো চারজন মহিলা ছিল। তাদের টিকা দেওয়ার পর একজন নার্স এসে আমাকে টিকা দেন। টিকা দেওয়ার পর একটু মাথা ঘুরছিল তাই কক্ষের বেঞ্চে বসি। এর মিনিট পাঁচেক পরে অন্য একজন নার্স এসে আমাকে বলে তাড়াতাড়ি হাত সরান, এই বলে আরো একটা টিকা দিল। আমি তাদের বলেছিলাম আমি তো একটু আগে একবার টিকা নিয়েছি, এবার কি দুটা নিতে হবে? আমার কথা না শুনেই দিয়ে দিল। এরপর আমি বার বার বলছিলাম আমাকে আবার দেওয়া হলো কেন? এবার কি দুইটা নিতে হয়। এরপর একজন নার্স বলে আপনাকে কি আজ টিকা দিয়েছিলাম নাকি?
তিনি আরো বলেন, আমি তো নিয়ম জানি না। কাগজ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসছি। নার্স তাড়াহুড়া করে দিয়ে দিলেন। আমি ব্যাথার জন্য হাত দিয়ে চেপে ধরে বলছিলাম এই বার কি (টিকা) দুটো করে নিতে হবে? বলার পরও দিয়ে দিল। তবে এ বিষয়ে কর্তব্যরত নার্সের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ডাবল টিকা দেওয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি। গোপালগঞ্জ সদরে ছিলাম না। মুকসুদপুর উপজেলায় গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক সাকিবুর রহমান বলতে পারবেন।
সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক ডা. সাকিবুর রহমান বলেন, আমি জানার পর বৃদ্ধাকে ডেকেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে দুটি দেওয়া হয়েছে। নার্স দ্বিতীয়বার দিতে গেলে বৃদ্ধা বলেন আমি একটা নিয়েছি। তখন আর টিকা দেওয়া হয়নি। শুধু সুইয়ের খোঁচা লেগেছে। আমি তাকে আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করতে বলেছি। এ ছাড়া আমরা বৃদ্ধার খোঁজ খবর রাখছি।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা