অনলাইন ডেস্ক
দোহাজারী সওজ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের নভেম্বরে এখানকার পুরোনো সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর নতুনভাবে নির্মাণের জন্য প্রথমবার ২২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সেতু মন্ত্রণালয়। সংশ্নিষ্ট ঠিকাদার কিছুদিন কাজ করে চলে যান। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে সেতুর জন্য ২০১৭ সালে ২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা নতুনভাবে বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। সেই ঠিকাদারও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে কাজ ফেলে চলে যান। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নামে সেতুটির নামকরণ হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির তিনটি গার্ডার ধসে নদীর পানির সঙ্গে মিশে গেছে। ঘটনাস্থলে কথা হয় স্থানীয় কোলাগাঁও ইউনিয়নের কালারপোল এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন ও শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাটের বাসিন্দা আলমগীরের সঙ্গে। তারা জানান, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে গার্ডার ভেঙে নদীর তলদেশে মিশে যায়। ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে। তারা আক্ষেপ করে জানান, একটি সেতুর জন্য ১৩ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে। তিন দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, সেতুটির প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে একটি দুর্ঘটনায় সেতুটি ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। এটি নিছক দুর্ঘটনা। একটি গার্ডারের ওজন ৩৫ টন। কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মুহাম্মদ সোলায়মান জানান, ক’জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন, তা এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে দুই আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দেড় বছর আগে নতুনভাবে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘসময় ধরে ধীরগতিতে চলছে কালারপুল সেতুর নির্মাণকাজ। এখন পর্যন্ত পাঁচটি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা