দেশের ১৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। এই রোগীদের প্রতি দু্ই লাখের জন্য একজন করে সাইকিয়াট্রিস্ট আছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ, বাংলাদেশ: ২০১৮-১৯’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই গবেষণা করতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
ফেসবুক পেজ :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মাত্র ২০০ জন সাইকিয়াট্রিস্ট রয়েছেন বাংলাদেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানসিক স্বাস্থ্য রোগের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ শিশুও মানসিক স্বাস্থ্যজনিত রোগে ভুগছে। এর জন্য আমাদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। প্রায় ১৮ বছর পর বাংলাদেশে এই জরিপ আবার সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মন ভালো না থাকলে শারীরিক অবস্থাও ভালো থাকে না। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আগে চাহিদা ছিল শারিরীক বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের। এখন সে সমস্যা সমাধান হলেও নতুন করে ক্যান্সার, কিডনির রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস সমস্যা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে এই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা।
দেশের মানুষ মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে চায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দেশের সাধারণ জনগণ এখনও কুসংস্কারমুক্ত নয়। তারা ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করলে মানুষজন তাদের পাগল বলতে পারে। যে কারণে এ সংক্রান্ত ৯৪ শতাংশ রোগী চিকিৎসার আওতায় আসে না।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে এখনও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চালু হয়নি। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। নারীরা এ ব্যাপারে একেবারেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান না। দেশে প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ১৩ দশমিক ছয়জন মানসিক সমস্যায় ভোগে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেজওয়ানুল করিম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা প্রমুখ।
আরও পড়ুন : ২০১৮ সালের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেলেন জয়া এবং ফেরদৌস
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা