জানা গেছে, এবারের বইমেলার স্টল বিন্যাস গতবারের মতোই থাকছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে মেট্রোরেল স্টেশনের ফটকের জন্য মেলার প্রবেশপথ ও বাইরে বেরোনোর পথ গতবারের চেয়ে কয়েক হাত দূরে হতে পারে। গত বছরের বইমেলায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দিকের প্রবেশপথটি সপ্তাহে দুই দিন খোলা থাকত। এবার তা মেলা চলাকালে পূর্ণ সময় খোলা রাখার অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মেলা পরিচালনা কমিটি। অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশ কয়েটি নতুন প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দের জন্য নির্বাচিত করা হচ্ছে। সবশেষে নতুন প্রকাশকদের সংখ্যা এবারের মেলায় ১৫ থেকে ২০টি হতে পারে। বিগত বছর ও নতুন প্রাপ্ত প্রকাশকদের মধ্যে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে স্টল বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত হবে ২৩ জানুয়ারি। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানির মাধ্যমে কাঠামোসহ মেলার সব কাজ সম্পন্ন করা হলেও এবার পুরো মেলার কাজ বাংলা একাডেমি একাই সম্পন্ন করবে। তিনি বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল বলেন, করোনার পর গত বছরের মেলা কিছুটা কিছুটা এলোমেলো ছিল। এবার মেলা ভালো হওয়ার আশা করছি। কারণ বাংলা একাডেমি এবার সম্পূর্ণ তদারকি করবে। এ ছাড়া আমাদের প্রস্তুতিও ভালো। এবারের বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে সব সংশয় কাটিয়ে আগামী বইমেলা বরাবরের মতো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই হচ্ছে।