ধর্ষক মজনু এটি মানতে নারাজ ফেসবুকের একটি গ্রুপ
‘ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। মানুষ আশা করেছিল যে ধর্ষককে ধরা হবে। সে ধরা পড়েছে। কিছু মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে সে ধর্ষক না। তবে, যখনই এই সন্দেহ দেখা যায়, তখনই বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের উপরে বিশ্বাসটা নড়বড়ে হয়ে আছে।
এমনকি গণমাধ্যমের উপরও ঠিক একই ভাবে নড়বড়ে। কারণ আমরা তথ্য কার থেকে জানছি এটা সম্পর্কে আমরা বোধহয় নিশ্চিত না। একটা জনবিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে যেই ধরা পড়ুক না কেন মানুষের একটা অবিশ্বাসের একটি যায়গা থাকবে। তবে, আমার মনে হয় নাই যে এই অবিশ্বাসটা সবার মধ্যে আছে। এটাকে নিয়ে আর একটা ঝামেলা অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব যদি দেখা যায়, তাহলে আমরা দেখি, পূর্বের অনেকগুলো ঘটনার আমরা কোন উত্তর পাইনি।
তনু, সাগর-রুনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতদিন পরেও কেন তাদের ঘটনার কোন কিনারা হয়নি। এইসব কারণেই কিছু মানুষের মধ্যে একটা অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সে ব্যাপারে উত্তর দেয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই কেসগুলোকে পরিষ্কার করে দেয়া।
যখনই কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হয়, কোন ধর্ষণের ঘটনা হয় এটা যখন প্রমাণিত হয় না, তখন এই ধরণের অবিশ্বাস তৈরি হতেই পারে। এটা সবাইকে স্বীকার করে নিতে হবে। আবার এই অবিশ্বাসকে দেখিয়ে দিয়ে, মানুষ বিভিন্ন ধরণের রাজনীতি তৈরি করতে থাকে সেটাও অদ্ভূত ব্যাপার হবে।
একজন বলছে যে এই ধর্ষক গ্রেফতার জজ মিয়ার ঘটনা। তার মানে কত দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিভিন্ন ধরণের কথা বলে আসছি। এটা দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, আমরা কত দীর্ঘদিন ধরে এই সব সমস্যা তৈরি করেছি।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতারের কথাতে বলছি না, আমি বলছি সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে একটা অবিশ্বাসের যায়গা তৈরি হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ যখন কথা বলে তখন মানুষ বিশ্বাস করে না। তনু হত্যার কেন এখনও বিচার হলো না! তার বাবা-মা পর্যন্ত নাম বলেছে তারপরও বিচার এখনও কেন হয়নি।
সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতিকে মেরে ফেলল – তারপরও কেন বিচার হলোনা? প্রতিদিন এই নামগুলো আসে। প্রতিদিন এই নামগুলোর সঙ্গে নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে।
ঢাবি ছাত্রী যদি সাক্ষ্য দেয় তাহলে তো বিষয়টি প্রমাণ হয়ে যাবে। কিন্তু মানুষের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিচ্ছিন্নতার পরিসর তৈরি হয়ে গেছে এটা যতক্ষন না মানবে ততক্ষণ এই সমস্যাগুলো হতেই থাকবে।
এই বিচ্ছিন্নতার পরিসরটা কমানো দরকার। জবাবদিহিতাহীন সমাজে এই ধরণের সমস্যা নতুন কিছু নয়।’
রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এরপ্রেক্ষিতে মজনু নামের এক হকারকে বুধবার গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরপরই বিভিন্ন মহলে জনমনে তাকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি দেখা যায়। কেউ কেউ মজনুকে ধর্ষক বলতে নারাজ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা