অনলাইন ডেস্ক
পোস্টে টবি ক্যাডম্যান লিখেছেন, ‘আমি এ ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত ও খুবই সম্মানিত বোধ করছি যে, আমাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর পরপরই টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭ চেম্বারসের এক্স হ্যান্ডল থেকে বিষয়টি নিয়ে তিন ভাগ করে (১/৩, ২/৩, ৩/৩) একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
পোস্টের প্রথম (১/৩) অংশে বলা হয়, ‘এই চেম্বারের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
দ্বিতীয় (২/৩) অংশে বলা হয়, ‘তাঁর ভূমিকা হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।
এই ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠান এবং এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়।’
পোস্টের তৃতীয় ও শেষ (৩/৩) অংশে বলা হয়, ‘… এবং (এটি) মূলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাঁদের আন্তর্জাতিক আইনে বিচার করার নিমিত্তে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছিল, সে সময় ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। তবে সে সময় তাঁকে আসতে দেওয়া হয়নি। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশে আসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই সাক্ষাৎ হয় বলে তখন বাসসের এক খবরে বলা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা