অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে অপেক্ষা করেও টিকা পায়নি তারা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের টিকা না পাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দুজনে পৃথক বক্তব্য দিচ্ছেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, টিকার ঘাটতি পড়ায় ১০০ শিক্ষার্থী টিকা পায়নি। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, টিকার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী হাজির করেছে শিক্ষা অফিস। এজন্য টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ২০০ জনকে টিকা দেওয়া যায়নি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার মদনপুর ডিগ্রি কলেজ, রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ ও নেহালপুর স্কুল এণ্ড কলেজ এ চার কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রে ৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। সে অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা নিয়ে হাজির হয় হাসপাতালের একাধিক টিম। সকাল ৯ টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। দুপুর ১২ টার দিকে টিকা শেষ হয়ে যায়।
এরপর টিকার অপেক্ষায় বিকেল পর্যন্ত থেকেও টিকা পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে শ্যামকুড় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৬৫ জন, টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ জন, কাশিমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫-৭ জন ও বোয়ালীয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররাসহ অন্তত ৪০০ ছাত্র টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এ চার বিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটির শিক্ষকদের সাথে কথা বলে বাদ পড়া ছাত্রদের সংখ্যা জানা গেছে। বোয়ালীয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র তামিম হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১ টার দিকে টিকা নিতে মনিরামপুর উপজেলা কেন্দ্রে গিয়েছি। আমরা টিকা নেওয়ার আগেই টিকা শেষ হয়ে গেছে। এরপর বিকেল চারটা পর্যন্ত বসে ছিলাম। আমাদের স্কুলের নবম, দশম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনেকে টিকা না পেয়ে ফিরে এসেছে।
শ্যামকুড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের মেয়েরা টিকা পেয়েছে। তবে ১৬৫ জন ছাত্রের কেউ টিকা পায়নি।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার শুক্রবার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে যাদের টিকা নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করা ছিল না তারাও টিকা নিতে আসছে। এতে করে টিকার ঘাটতি দেখা দেয়।
তিনি বলেন, আমাদের তিন বিদ্যালয়ের জন্য ৩০০ টিকার ঘাটতি পড়ে। পরে ২০০ টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। ১০০ ছাত্র টিকা পায়নি। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে বাদ যাওয়া এ সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ২০০ টিকার লক্ষ্যমাত্রা দেয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। দুপুরে তাঁরা আরো ৬০০ টিকা দাবি করে। আমাদের অতিরিক্ত টিকা সংরক্ষিত ছিল না। পরে অন্য কেন্দ্র থেকে এনে মোট ১ হাজার ৩৫০ জনকে টিকা দিতে পেরেছি। ২শ এর মত শিক্ষার্থী টিকা পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ১৬-১৭ হাজার ফাইজারের টিকা হাতে পেয়েছি। আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে যে কোন দিন এসব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা