অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) দফতরের বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। এখানে সরকার দেখেছে, ওএইচসিএইচআর দুর্ভাগ্যবশত তার কার্যপরিধি লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মানবাধিকারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করার জন্য একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যায়নের পুনরাবৃত্তিমাত্র। এই প্রেক্ষাপটে সরকার সঠিক পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও স্বীকার করেছেন। গুটিকয়েক ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেও জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবাধিকারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচনে সহিংসতা ও বিরোধী প্রার্থীদের দমন-পীড়নের দাবি ওএইচসিএইচআরের একপেশে মূল্যায়ন বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে আর কয়েক ডজন গুমের ঘটনার (বেশিরভাগই নভেম্বর মাসে) খবর পাওয়া গেছে বলে ওএইচসিএইচআর যে বক্তব্য দিয়েছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অভিযোগ বাস্তবতাবিবর্জিত এবং ওএইচসিএইচআরের পক্ষ থেকে দায়িত্বহীনতার একটি দৃষ্টান্ত। জনসমক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়ার আগে যেকোনো দফতরের তথ্যের সত্যতা যাচাই করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের দফতর থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে বাংলাদেশে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভোলকার তুর্ক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা