জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের ছোটকাকু সিরিজের গল্প অবলম্বনে নির্মিত মার্চ মাসজুড়ে ৫টি চলচ্চিত্র হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩.০৫ মিনিটে দেখানো হবে কক্সবাজারে কাকাতুয়া। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এ ছবিগুলো নিবেদন করেছে গ্রামীণফোন।
আফজাল হোসেন এই চলচ্চিত্রগুলো পরিচালনার পাশাপাশি ছোটকাকু চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। ছবিগুলোতে আরো অভিনয় করেছেন অর্ষা, সীমান্ত, তানভীর হোসেন প্রবাল, জহিরউদ্দিন পিয়ার, শামস্ সুমন প্রমুখ।
গল্প. ছোট কাকু মানে রহস্য। ছোট কাকু মানেই বিপদ সংকুল পথে পা বাড়িয়ে রহস্যের কিনারায় পৌঁছানো…কক্সবাজার শহর থেকে মাইল দশেক দূরে রামুতে… এমন সময় ছোট কাকুর মোবাইল বেজে উঠলো। অপরিচিতি নাম্বার, ছোট কাকু কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে ড্রাইভারকে বললেন ঘুম ঘুম কতদূর…টেকনাফের পথে… গাড়ী ঘোরাও…। হঠাৎ করে এক ভদ্রলোককে আমার চোখে পড়লো।
বেশ চিন্তিত ভঙ্গি, উশকো খুশকো একমাথা চুল, দু‘চোখে শাণিত দৃষ্টি…অদ্ভুত লোকটা পকেট থেকে সোনালী রঙের একটি মুদ্রা বের করে আমাকে দিলেন। মুদ্রার একপিঠে এক পায়ে ভর করে দাড়িয়ে আছে একটা বাঘ, অন্যপাশে খোলা তরবারী হাতে একজন গাইড….বুঝতে বাকি রইলো না এটা রবার্ট কাইভের আমলের মুদ্রা। ধন্যবাদ দেবার জন্য তাকাতেই দেখি লোকটি অদৃশ্য…পাশের পাহাড়ের দিকে তাকাতেই বুঝলাম এই পাহাড়েই অদৃশ্য হয়ে গেছে লোকটা। উত্তেজনায় ছোটকাকুর দু‘চোখ চক চক করছে…সকালে যার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো তিনি রকিব স্যার… বহু বছর আগে এই প্রাচীন মুদ্রাটি রকিব স্যারকে ছোট কাকু দিয়েছিলেন…।
হনহন করে ছোটকাকু লতাপাতা সরিয়ে প্রবেশ করলেন পাহাড়ের ফাটলে। পেছনে আমি…আফতাব মির্জাও আমাদের অণুসরণ করলেন। চারিদিকে মোটা থরে প্রাচীর। যতো ভেতরে যাচ্ছি, অন্ধকার গাঢ় হচ্ছে…গা ছম ছম পরিবেশ…পায়ের নিচে পানির ছোয়া পাচ্ছি…ঠান্ডা পানি… দেয়ালগুলো সব প্রবাল…, সুঁচের মতো সাদা ফলাগুলো বেরিয়ে থাকা সরু পাাথরগুলো জ্বলজ্বল করছে…এমন অসংখ্য রহস্য, রোমাঞ্চের সব গল্প দেখা যাবে ছোট কাকু ধারাবাহিকে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা