চীন থেকে গত ২১ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ফিরেছে ৩৭৫৪ জন। এদের প্রত্যেককে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন একটি করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।২০১৯-এনকভ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর যৌথভাবে ২০১৯-এনকভ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৪০৬ জন কে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর ২০১৯-এনকভ কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-এনকভ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে বিমান বন্দর এ কর্মরত সকল বিভাগের অধিকতর সমন্বয় এবং এয়ারলাইন্স সমূহের আশু করণীয় সংক্রান্ত সভা অনুুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ২০১৯-এনকভ নিয়ন্ত্রণ এ চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় এবং সকল কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে সভায় সকলে ঐক্যমত পোষণ করেন। বর্তমান কার্যক্রম এর আওতায় ৪টি এয়ার লাইন্স ৎকে স্ত্রিনিং এ সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। উপস্থিত অন্যান্য এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনপূর্বক সবার ২০১৯-এনকভ নিয়ন্ত্রণ এ সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আহবান করা হয় এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে সকল এয়ারলাইন্সকে স্ক্রিনিং এর আওতায় আনার কথা জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত সকল এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিগণ সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য তথ্য কার্ড (হেলথ ইনফরমেশন কার্ড), স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র (হেলথ ডিক্লারেশন ফরম ), হেলথ প্যাসেঞ্জার লোকেটার ফরম ছাপিয়ে যাত্রীদের মাঝে বিতরণে সম্মত হয়েছেন।
সনাক্তকৃত ২০১৯-এনকভ রোগীর চিকিৎসার অংশ হিসেবে সকল জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
২০১৯-এনকভ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ এর অংশ হিসেবে ২০১৯-এনকভ সংক্রমিত রোগী সম্পর্কে করণীয় সকল বেসরকারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সনাক্তকৃত ২০১৯-এনকভ রোগীর চিকিৎসার অংশ হিসেবে সকল জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট নির্দিষ্টকরণ করা হয়েছে।
আইইডিসিআর এর হটলাইনে এ ভাইরাস সম্পর্কে জানতে মোট কল এসেছে ১৫২টি। বৃহস্পতিবার এসেছে ৭৩ টি কল। এরমধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে ৩৭টি, যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় এসেছে ১২ টি। হটলাইন সেন্টার থেকে করোনা সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করেছে ২১ জন। গতকাল গ্রহণ করেছে ৮ জন। আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা