চীনে নতুন যে করোনা ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সেটি হলে জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি হতে পারে। শুধু চীন থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণকারি বা বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণকারিদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগ প্রতিরোধে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. সানিয়া তাহমিনা ।
তিনি জানান, যেহেতু ভাইরাসটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস এবং এর ভয়াবহতা ও বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানা এখনো সম্ভব হয় নাই। তাই ভ্রমনকালীন বিশেষ করে চীন থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হতে চীনে ভ্রমনকারীগন সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য স্বাভাবিক স্বাসতন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে – আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে। বার বার প্রয়োজন মত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে, বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শে আসলে কিংবা সংক্রমণ স্থলে ভ্রমণ করলে। জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত/বন্য প্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে।
তিনি জানান, ভ্রমণকারীগণ আক্রান্ত হলে কাশি শিষ্টাচার অনুশীলন করতে হবে (আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি- কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, হাত ধোয়া, যেখানে সেখানে কফ কাশি না ফেলা )।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে – দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ বিমান বন্দর সমুহে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্ক সমুহে সতর্কতা ও রোগের সার্ভেল্যান্স জোরদার করা , হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশ পথ সমুহে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম গ্রহন, নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং প্রদান, ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ও প্রতিরোধের জন্য রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রচার কার্যক্রম গ্রহন, হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের সাতটি প্রবেশ পথে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার এর মাধ্যমে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত রোগীদের স্পর্শ না করে জ¦র পর্যেেবক্ষণ কার্যক্রম গ্রহন, কূর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, নভেল করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে নির্দিষ্ট রাখা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান রোগ প্রতিরোধী পোষাক (চচঊ) মজুদ রাখা, হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড প্রস্তত রাখা, বিমানের ভিতরের আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সনাক্তকরনের জন্য বিমানের ক্রুদের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে হেলথ্ ডিকলারেশন ফর্ম ও প্যাসেনজার লোকেটের ফর্ম বিতরন, ঝুাঁকি সম্পর্কে ধারনা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ভাইরাস প্রতিরোধ সংত্রান্ত গাইডলাইন প্রসÍত করা হয়েছে এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য সিডিসি এবং আইইডিসিআর এ মোট ৪ টি হটলাইন প্রস্তত রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইন এবং রোগীর স্ক্রিনিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা