অনলাইন ডেস্ক
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২০তম মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। এ সময় নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু তিনি মিস করেন। বারের ওপর দিয়ে মারেন তিনি।
৩৭তম মিনিটে গাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বলে নেইমারের ফ্লিক ফ্রান্সিসকো সিয়েরালতার পায়ে লেগে ব্যর্থ হয়। ছয় মিনিট পর জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন চিলি গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরমিনোর বদলে মাঠে নামা পাকুয়েতা ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করেন। এ সময় সমন্বিত আক্রমণে বক্সের মধ্যে নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে ভলিতে গোল করেন পাকুয়েতা। তাতে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। অনেক উপরে পা তুলে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও। গত আসরের ফাইনালেও লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস।
বাকি সময় দশজন নিয়েই খেলতে হয় ব্রাজিলকে। এই সুযোগ নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় চিলি। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি তারা। তবে, ৬২তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিল চিলি। কিন্তু অফসাইডের জন্য মিলেনি গোল। এর চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। প্রতি আক্রমণে বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন পিএসজি ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার শট সহজেই ফিরিয়ে দেন ব্রাভো। ৬৯তম মিনিটে একটুর জন্য সমতা ফেরাতে পারেনি চিলি। মেনার দারুণ ক্রসে ব্রেন বেরেটনের হেডে লাফিয়েও হাত ছোঁয়াতে পারেননি এদেরসন। ক্রসবারে লেগে বল ফিরে মাঠে। বেঁচে যায় ব্রাজিল।শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
সেমিফাইনালে ব্রাজিল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে দিনের আগের ম্যাচে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা পেরুকে। এতে কোপা আমেরিকার গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের এবার সেমিফাইনালেই দেখা হয়ে যাচ্ছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা