অনলাইন ডেস্ক
গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শতাধিক ইটভাটা। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই সেখানে গড়ে উঠেছে ড্রাম চিমনির ইট ভাটা। যার অনেকগুলোতেই জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয় এসব ভাটায়। ইটও পোড়ানো হচ্ছে পরিবেশ দূষণকারী টিনের ছোট ড্রাম চিমনিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিনিয়ত কাঠ কেটে ইট ভাটায় পোড়ানোর ফলে গ্রামে দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছপালা। এতে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এছাড়া ফসলি জমির মাটিও কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভাটার মালিকরা। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করলেও সরকারী নিয়ম-নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো তোয়াক্কা করছে না মালিকপক্ষ।
জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর কারণে সম্প্রতি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচটি ইট ভাটা উচ্ছেদ ও নয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানালেন, এব্যাপারে শিগগিরি আবারো অভিযান চালাবেন তারা। ভাটায় কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্ধ করে দেবেন এসব অবৈধ ইটভাটা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসতি এলাকায় ভাটা স্থাপন করা যাবেনা। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিবছরই এই জেলায় আবাদী জমিতে গড়ে উঠছে অসংখ্য ইটভাটা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা