সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল গার্মেন্টস শ্রমিকদের হয়রানির নিন্দা করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, একদিকে করোনা সংক্রমণের আতংক, অন্যদিকে গার্মেন্টস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকরা হয়রানির শিকার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার ফলে একবার মাসের শেষে শূণ্য হাতে বাড়ি গিয়েছিল শ্রমিকরা আবার কারখানা চালু হওয়ার কথা শুনে এপ্রিলের শুরুতে পরিবহণ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ৪ এপ্রিল ফিরে এসেছে। যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে নিরাপদ দুরত্ব রক্ষা করাতো দুরের কথা স্বাভাবিক দুরত্বও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
যখন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সর্বোচ্চ বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, সেই সময় জীবনের ঝুঁকি ও সংক্রমণের আশংকা নিয়ে শ্রমিকরা কারখানায় এসেছেন বেতনের আশায় আর অনুপস্থিত থাকলে চাকরি হারানোর আশংকায়।
এখন বলা হচ্ছে ১১ এপ্রিলের পর কারখানা খুলবে। তাহলে যে শ্রমিক ঢাকায় এসেছেন তারা কি ফিরে যাবেন, না থাকবেন এই অনিশ্চয়তায় পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। তাদের থাকা, খাওয়া, সুরক্ষার বিষয়ে কি হবে তা শ্রমিকরা জানেনা। শ্রমিকদের জীবন, জীবিকা ও নিরাপদ দূরত্ব রক্ষার নিয়ম নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলাকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য শ্রমিক ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।
সরকারী দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্ব অবহেলা, সমন্বয়হীনতা ও মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার নিন্দা করে নেতৃবৃন্দ যাওয়া আসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা