অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (২১ আগস্ট) দুুপুরে গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ জানান, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডোমেরহাট ইউনিয়নের সূবর্ণদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতি বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী নিজপাড়া গ্রামের ওয়াসিম জাহান তৌহিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর এক পর্যায়ে জান্নাতি গর্ভবতী হলে স্থানীয়দের চাপে তাদের বিয়ে হয়।
কিন্তু, বিয়ের পরে ওয়াসিম যৌতুক দাবি করায় মেয়ে পক্ষ তা দিতে অস্বীকার করলে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওয়াসিম।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় জান্নাতি বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করলে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর নিজে আত্মগোপন করে ওয়াসিম। এরপর তার বড় ভাই মানজুমুল হুদা নাহিদ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ওয়াসিমের স্ত্রী জান্নাতি ও তার পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়াসিমকে অপহরণ করে হত্যা ও গুমের মামলা করে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৯ আগস্ট পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি দল গাজীপুর জেলার মোগরখাল এলাকার টিএনজেএড নামের একটি ফ্যাক্টরি থেকে কথিত মৃত ওয়াাসিমকে জীবিত উদ্ধার করে। বিকালে তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। কথিত মৃত ওয়াাসিম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিল বলে জানিয়েছে পিবিআই।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা