সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো এবং সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু শনিবার(২৮ মার্চ) এক যুক্ত বিবৃতিতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে কিশোরী তাকমীন ধর্ষণ ও হত্যার বিচার এবং ধর্ষক ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আঠারোদানা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও পাড়াভরট গ্রামের জামিয়া আরাবিয়া কায়েমুল উলুম কওমি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র মো. আশিকুল হকের সঙ্গে পাড়াভরট গ্রামের আব্দুল মতিনের কিশোরী কণ্যা তাকমিনা আক্তারের সম্পর্ক ছিল। তাকমিনা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আশিকুল ফোন করে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে আঠারোদানা জামে মসজিদের কাছে তাকমিনাকে ডেকে নেয়।
আশিকুল তার বন্ধু ও একই মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ ও আরিফের সাহায্যে তাকমীনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে তার ওড়না দিয়ে লাশ মসজিদের পাশে জাম গাছের ডালের সঙ্গে বেধে রাখে। তাকমীনের পরিধেয় বস্ত্র ছেড়া ছিল, পা মাটির সাথে লেগে ছিল, পাশে মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। এরপর আঠারোদানা জামে মসজিদের ইমাম মো. মোজাম্মেল হকের যেতে দেরি হওয়ায় আশিকুল ফজরের নামাজের ইমামতি করে। তাকমীনের মোবাইলের কললিস্ট ধরে তিনদিন পর ২৬ মার্চ মাহফুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ তার কাছ থেকে ধর্ষণ ও খুনের বর্ণনা পায়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষক ও খুনিদের বয়স ১৮ বছর বলে পত্রিকা মারফত জানা গেছে। এটা ভীষণ উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয় যে এই বয়সী ছেলেরা ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে এরপর নামাজ পড়তে পারছে, ইমামতি করছে! কতখানি অসুস্থ ও বিকৃত মানসিকতা হলে এটা সম্ভব হয়েছে!! সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। নারী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার প্রায় হয় না বললেই চলে। পরিসংখ্যান মতে ১০০টি মামলায় মাত্র ৩টির বিচার হয়। এভাবে বিচারহীনতার রেওয়াজ, আইনের দীর্ঘসূত্রিতা, নারীর প্রতি সমাজের অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গী, মাদক-পর্নোগ্রাফির বিস্তার নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যাকে প্রায় মহামারি পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ধর্ষক-খুনিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা