একটি অবস্থার শেষ মনে হচ্ছে, কিন্তু আর একটির শুরু বুঝা যাচ্ছে না- এর নাম ক্রান্তিকাল। অন্ধকারাচ্ছন্নতার সাথে অনাগত আলোর সম্পর্কের মতো অনিশ্চিত। এর প্রভাব পড়ছে জীবনের সর্বত্র। বলা হয়, এটা বিশ্ব ইতিহাসের প্রভাব। একশ বছরের সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন অনেকটা ভেঙ্গে গেছে, দুশো বছর চর্চার পরও গণতন্ত্র আশা জাগাতে পারছে না। – বইয়ের সারসংক্ষেপে এভাবেই নিজের বই সম্পর্কে লিখেছেন লেখক ড. শেখ বাতেন।
তার ক্রান্তিকালের দিনলিপিতে তিনি তার জীবনের ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে খুব উঠে এসেছে দেশের স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত, রাজনীতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক পরিস্থিতি। লেখকের দিনলিপি হলেও এটি পড়তে গিয়ে পাঠক পেয়ে যান এই সময়ের বাংলাদেশের অবস্থা। কথনো লেখকের লেখা পড়ে কান্না ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে হৃদয়, কখনো বা নিজের অজান্তেই হেসে উঠেন । কেননা, পুরো বইয়ে এমন সব টুকরো টুকরো স্মৃতিকথা উঠে এসেছে যা কোন না কোনভাবে পাঠককেও ছুঁয়ে যায়।
পুরো বইটিতে মুল লেখা আছে ৩১৮ পৃষ্ঠার। এছাড়া শেষের অংশে আছে লেখকের নিজস্ব কিছু দুর্লভ ছবি।
ড. শেখ বাতেন নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। আপন বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ। প্রতিবেদন তৈরি করার অপরাধে সাংবাদিক ছোট ভাই প্রাণ হারিয়েছে মাদক সন্ত্রাসীদের হাতে। জীবনে নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে তিনি এখন দেশ মাতৃকার উন্নয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরিতেই সময় বেশি ব্যয় করছেন। তার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং ভাবনার বহি:প্রকাশ যেন ক্রান্তিকালের দিনলিপি।
বইটি প্রকাশ করেছে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ। ছাপা মূল্য ৫৫০ টাকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশের ৩০১ নম্বর স্টলে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা