অনলাইন ডেস্ক
স্থানীয় সময় বেলা একটায় ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। এই শহরের ভেন্যু হ্যাগলি ওভালে আগামীকালই অনুশীলন শুরু করবেন মুমিনুলরা। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেই এখন পাখির চোখ বাংলাদেশ দলের। কাল ঐতিহাসিক জয়ের পরপরই অধিনায়ক মুমিনুল বলেছিলেন, তিনি দ্রুতই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের জয়টা ভুলে যেতে চান, ‘আজ আমি এই জয় (মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট) ভুলে যেতে চাই। তাকাতে চাই ক্রাইস্টচার্চের পরের টেস্ট ম্যাচে।’
নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য ভেন্যুর মতো ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। এই মাঠে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত একটি টেস্ট খেলে একটিতেই হেরেছে। ২০১৯ সালে যে টেস্ট এখানে খেলার কথা ছিল, সেটি তো মসজিদে হামলার কারণে বাতিলই হয়ে যায়।
এই মাঠে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট রেকর্ডও প্রতিপক্ষের মনে ভীতি জাগাতে বাধ্য। নিউজিল্যান্ড এই মাঠে আটটি টেস্ট খেলে সাতটিই জিতেছে, ড্র করেছে একটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটি তো ইনিংস ও ১৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে কিউইরা। বাড়তি বাউন্স ও সবুজ ঘাসে মোড়ানো হ্যাগলি ওভালের উইকেট যে কিউইদের পক্ষেই কথা বলে, সেটি বোঝা যাচ্ছিল সাবেক ক্রিকেটার ক্রেগ ম্যাকমিলানের কথাতেই।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট শেষে নিউজিল্যান্ডের স্পার্ক স্পোর্টস টিভিতে তিনি বলছিলেন, ‘বে ওভালে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রত্যাশামতো কন্ডিশন পায়নি। ক্রাইস্টচার্চে এমন হবে না। উইকেট নিশ্চয়ই সবুজ থাকবে। কিছুটা বাড়তি বাউন্সও নিশ্চয়ই থাকবে। আর নিউজিল্যান্ড ওই ভেন্যুতে খেলতেও পছন্দ করে। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের কোনো টেস্ট হারার ঘটনা আমার মনে পড়ে না।’
তবে সেখানকার কন্ডিশন যে বাংলাদেশ দলের পেসাররাও উপভোগ করবেন, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন আরেক সাবেক কিউই মার্ক রিচার্ডসন। তিনি বলছিলেন, ‘তাসকিন-ইবাদতরা মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যা দেখিয়েছে, তাতে সবুজ ঘাসের উইকেট পেলে নিশ্চয় ওরাও উপভোগ করবে।’
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা তিনটি ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের জয় নেই। সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে খেলা ওয়ানডে ম্যাচটিতে জয়ের খুব কাছে এসেও হেরে গিয়েছিল তামিম ইকবালের দল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা