অনলাইন ডেস্ক
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পেশায় একজন আইনজীবী। আওয়ামী লীগের বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায়ং জন্মগ্রহণ করেন।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জেলা সিনিয়র দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে চলা এই ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস বিচার বিভাগে যোগদান করেন।
১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত থেধকে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংগঠিত হত্যা, লুণ্ঠন ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড অনুসন্ধানে দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৩ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন চুপ্পু। ১৯৭৫ সালে সংগঠিত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু সহপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলের জনক মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৩-৭৫ সালে পাবনা জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক, ১৯৭৮-৮২ সাল পর্যন্ত পাবনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা সমিতির কোষাধ্যক্ষ, পাবনা জেলা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, অন্নদা পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য। সাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলা ছাত্রপরিষদের পাবনা জেলার সভাপতি হিসেবে পাবনায় স্বাধীন বাংলার পতাকার উত্তোলনকারী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা