মানুষ তখনই শিল্প রচনা করল, যখন তারা কৃষি কাজের সূচনা করল। কেননা অবসর ছাড়া শিল্প রচনা করা যায় না। আর কৃষি কাজের সূচনা হবার সাথে সাথেই মানুষের অবসর বৃদ্ধি পায়।
৩০ অক্টোবর (বুধবার) শিল্প ও নৈতিকতা : নন্দনতাত্ত্বিক পর্যালোচনায় সাম্প্রতিক বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র লেকচার থিয়েটার ভবনের মমতাজুর রহমান তরফদার সভাকক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।
অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বলেন, সুন্দর হচ্ছে মানুষের একটা বৃত্ত। আর এর মাধ্যমেই শিল্পের সৃষ্টি হয়। শিল্পী হতে হলে শুধু শিক্ষা থাকলে হয় না, শিল্পীর মাঝে জীবনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, শিল্প কোন দৈব প্রতিভা নয়। শিল্পী সেই হয়, প্রকৃতি যাকে নির্বাচন করে।
নৈতিকতার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্কুলে ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া উচিত। নৈতিকতার শিক্ষা থাকলে আবরারের মত হত্যাকান্ড হত না। বিশ্ব শিল্প-সাহিত্য নৈতিকতার চর্চা করে। আমাদের মাঝে এসবের চর্চা থাকা উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রভাষক বেল্লাল আহমেদ ভূঞা তার মূল প্রবন্ধে বলেন, শিল্পের সাথে নৈতিকতার কোনো বিরোধ নেই। প্রচলিত মত অনুযায়ী বা যারা গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী তারা যদি মনে করে এর সাথে বিরোধ, সে ধরণের কোনো বিরোধ নেই।
বেল্লাল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, যে কোনো শৈল্পিক কর্মের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ নান্দনিকতার মধ্য দিয়ে নৈতিকতা প্রকাশিত হয়। সত্য সুন্দর এবং মঙ্গলকে প্রকাশিত হয়।
সেমিনারে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুনিরা সুলতানা বলেন,‘শিল্পের উদ্দেশ্য তার সৃষ্টির ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত থাকে। নতুন করে শিল্পের উদ্দেশ্য খোঁজার দরকার নেই।
কাব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,‘কাব্যের আবেদন তার মোরাল সেন্সের মধ্যে নয় বরং স্পীচুয়াল সেন্স এর সাথে সম্পৃক্ত।’
উক্ত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মতিউর রহমান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা