বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আরো উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত না হলেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাইরাসটি যাতে বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য জনচেতনা সৃষ্টির পাশাপাশি ভাইরাসটি মোকাবেলায় কি কি করণীয় রয়েছে তা দ্রুততার সাথে নির্ধারণ করতে হবে।
উপাচার্য আরো জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, বক্ষব্যাধি বিভাগ এবং এ্যানেসথেসিয়া, এনালজেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি ) ২০২০ইং তারিখে ইপনা অডিটরিয়ামে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার সাবকমিটির উদ্যোগে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বহুল প্রচলিত ধারণাসমূহ ও এই ভয়ংঙ্কর সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত গবেষণার বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত কেন্দ্রীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
“মলিকুলার এপিডেমিলোজি এন্ড ইমিউনোলজি অফ নবেল করোনা ভাইরাস হাইপস এন্ড হোপস-Molecular epidemiology and Immunology of novel corona virus-Hypes & hopes” শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে কর্মরত বাঙ্গালী বিজ্ঞানী ড. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফ্র আহমেদ, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন-আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী প্রমুখসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বিজ্ঞানী ড. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং খাবারের আগে কমপক্ষে আধা মিনিট ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
তাছাড়া রাস্তাঘাটে থুথু ফেলা বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিন শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এই ভাইরাসটি মোকাবেলা করতে হলে ভাইরাসটির আচরণ থেকে শুরু করে সবকিছুই জানতে হবে। এই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন তৈরি করতে আরো দেড় বছর সময় লাগবে।
তিনি আরো জানান, ভাইরাসটি স্পর্শ থেকেও সংক্রমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাইরাসটি মুরগির ফার্ম থেকেও সংক্রমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে গঠনমূলকভাবে মোকাবেলায় করতে হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা