অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর লি হেইসেন লুং জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আগামী ১ জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। লকডাউনের সময় দেশের সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রথম দফায় সিঙ্গাপুরে ৭ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় তা আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হল।
সিঙ্গাপুরে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই প্রবাসী শ্রমিক। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন করোনায় আক্রান্ত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬২।
নতুন করে আরও প্রায় এক হাজার শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী লি হেইসেন শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে অনেকে হয়তো অখুশি হবেন। কিন্তু আমি আশা করবো আমাদের এই স্বল্পমেয়াদী কষ্ট ভাইরাসটি নির্মূল করবে এবং আমাদের নিজের ও প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দেবে।’
তবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর করোনার বিস্তার রোধে সিঙ্গাপুরের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছিল গোটা বিশ্বে। দ্বিতীয় দফায় দেশটিতে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
আর এসব আক্রান্তের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক। তারা বিভিন্ন জনবহুল ডরমিটরিতে থাকায় সেখান থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসটি।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দ্বীপ দেশটিতে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০ হাজার ১৪১। আর মারা গেছে ১১ জন।
গত ১৫ মার্চ সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০ জন। তখন ভাবা হচ্ছিল করোনা বোধহয় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু বিগত তিনদিনেই সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি মানুষ।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা