ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লাকি আক্তার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে।
ঘটনার পর পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে লাকি আক্তার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে করেন তারই চাচা আহাম্মদ আলীর ছেলে চাচাতোভাই এমদাদুল হককে। এমদাদুল ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। লাকি ও এমদাদের সংসারে গত দুই বছর পূর্বে মাঈশা নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হলেও নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
গত ৫ মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে লাকি তার স্বামীকে একতরফাভাবে ডিভোর্স দেন। পরে লাকি চলে যান ঢাকায়। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বাড়িতে ফেরেন লাকি। স্ত্রী বাড়িতে এসেছে খবরে ুব্ধ স্বামী ছুটে যান বাড়িতে। সন্তানকে খাওয়ানো অবস্থায়ই লাকির বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় স্বামী। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লাকির।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, ‘এ ঘটনায় ওই নারীর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে এবং পলাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা