ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ইউক্রেনগামী বিমানটি ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দাবির পর এবার ইরানের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে তারা ভুল করে সেদিন ওই বিমানটি ভূপাতিত করেছিল।
এমন স্বীকারোক্তির পর তেহরানের রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকশ শিক্ষার্থী ইরানের শরীফ ও আমির কবির নামে অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়। প্রথমে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ তা বিক্ষোভে রূপ নেয়।
এক হাজারের বেশি মানুষ দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে এবং সোলেইমানির ছবি ছিঁড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে বিমানটিকে উড্ডয়নের অনুমতি কেন দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থীরা বিমানটি ভূপাতিত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের, এবং যারা এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছে।
জানা যায়, প্রতিবাদী স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘কমান্ডার-ইন-চিফ পদত্যাগ করুন’। শীর্ষ নেতা আলি খামেনিকে উদ্দেশ্য করেও স্লোগান দিয়েছে। এছাড়া ‘মিথ্যাবাদীদের মৃত্যুদণ্ড দাও’ বলেও তারা স্লোগান দেয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজি এবং ফারসি দুই ভাষায় টুইটে বলেছেন, ইরানের সাহসী ও ভুক্তভোগী জনগণের প্রতি: আমি আমার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই আপনার পাশে আছি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকবে।
আমরা আপনাদের প্রতিবাদ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি। আপনাদের সাহস অনুপ্রেরণা দেয়।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) ইরান ঘোষণা করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানকে ভূপাতিত করেছিল, যাতে ১৭৬ আরোহীর সকলেই নিহত হন। বিবিসি।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা