অনলাইন ডেস্ক
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এখন আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের কালের কণ্ঠ’র আর্কাইভ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে গত বছরের ২ জুলাই প্রথম দফায় দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল চার হাজার ১৯, গত ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল সাত হাজার ৬২৬ এবং তৃতীয় দফায় গত সোমবার ছিল আট হাজার ৩৬৪ জন। এর মধ্যে গত ২ জুলাই সারা দেশে সাধারণ শয্যা ছিল ১৪ হাজার ৭৭৫টি এবং আইসিইউ শয্যা ছিল ৩৯২টি। এর মধ্যে ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১০টি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ছিল ছয় হাজার ৭৫টি ও আইসিইউ শয্যা ছিল ১৪৫টি। অন্যদিকে গত সোমবারের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে সাধারণ শয্যা কমে হয়েছে ১২ হাজার ৮০২টি ও আইসিইউ শয্যা প্রায় চার গুণ বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১৫০টি। এর মধ্যে ঢাকায় সাধারণ শয্যা কমে আছে পাঁচ হাজার ২৪৪টি ও আইসিইউ শয্যা বেড়ে হয়েছে ৮২৫টি। এ ছাড়া গত ২ জুলাই দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল ১১ হাজার ১৪১টি, এখন হয়েছে ২৪ হাজার ১৯২টি, হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানুলা ছিল ২০৭টি, এখন হয়েছে এক হাজার ৬৪২টি, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ছিল মাত্র ৯৮টি, এখন আছে এক হাজার ৬৪২টি।
এবার হাসপাতালে রোগী ভর্তি ঢাকা ও রাজধানীর বাইরে আনুপাতিক হারে বেড়েছে। তবে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তের জেলাসহ ঢাকার বাইরে বেশি সংক্রমণ ও শনাক্ত থাকায় হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকার চেয়ে এগিয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলো। বিশেষ করে গত ৭ এপ্রিল দেশে দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ শনাক্তের দিন সারা দেশে ভর্তি পাঁচ হাজার ২০৮ জন রোগীর মধ্যে ঢাকার ১৯ হাসপাতালে রোগী ছিল তিন হাজার ৪০৭ জন (৬৬%), আর ঢাকার বাইরে ছিল মাত্র এক হাজার ৮০১ জন (৩৪%)। গত সোমবার সারা দেশে ভর্তি থাকা ছয় হাজার ২৬৫ রোগীর মধ্যে ঢাকায় ছিল দুই হাজার ৪২৯ জন (৩৯%) এবং ঢাকার বাইরে ছিল তিন হাজার ৮৩৬ জন (৬১%)। এ ক্ষেত্রে গত ৭ এপ্রিল ঢাকার আইসিইউতে রোগী ছিল ২৮৫ জন, আর গত সোমবার রোগী ছিল ৩৯৩ জন। অর্থাৎ এবার আক্রান্তদের মধ্যে জটিলতা বেশি থাকায় হাসপাতালে যেমন অত্যধিক চাপ, তেমনি আইসিইউতেও যেতে হচ্ছে বেশি। এ কারণে মৃত্যুও বাড়ছে দিন দিন।
ঢাকার হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ার বিষটির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১৯ জুন রাজধানীর ২৮টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের মোট সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল এক হাজার ৪১৬ জন এবং আইসিইউতে ২৬৯ জন। গত সোমবার ঢাকার ওই হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যায় সব মিলিয়ে রোগী ছিল দুই হাজার ৩৬ জন এবং আইসিইউতে ৩৯৩ জন।
এ ব্যাপারে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. তাহমিনা শিরীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যখন যে ভেরিয়েন্ট থাকে তখন সেই ভেরিয়েন্টেই বেশি আক্রান্ত হবে এবং মারাও যাবে, এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে এখন যেহেতু ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তার বেশি, তাই এতে রোগীর জটিলতাও বেশি হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে এই ভেরিয়েন্টেই বেশি।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিয়া নিজেও এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে গত এক বছরে আইসিইউ, অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানুলা কয়েক গুণ বাড়লেও সাধারণ শয্যা কেন কমে গেছে জানতে চাইলে বলেন, আগে উপজেলা পর্যায়ের শয্যারও হিসাব করা হতো, আবার ঢাকায় কোনো কোনো আইসোলেশন সেন্টারে অনেক বেশি শয্যা ছিল। এখন সেগুলো না থাকায় সাধারণ শয্যা কম দেখানো হয়েছে। রোগীর চাপ যদি আরো বাড়ে তবে সাধারণ শয্যাও বাড়ানো যাবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা