অস্ত্রোপচার পরবর্তী রোগীদের শরীরের অস্ত্রোপচারের স্থানে বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সংক্রমিত স্থান উন্নত ও সুচিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগের উদ্যোগে অপারেশন বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ (সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশন) বিষয়ে একটি কনটিনিউ মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই) প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া একথা বলেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই সিএমই প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম।
সভাপতিত্ব করেন অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবস এন্ড গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিফ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজদ।
উপাচার্য আরো বলেন, বিদ্যা মুখস্ত করলেই চলবে না, তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রায়োগিক শক্তি ও জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। হাইজেনিক বা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অপারেশনস্থলে উপস্থিত হতে হবে। হাইজেনিক এনভায়রনমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নিজের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে সংক্রমিত স্থান সারিয়ে তোলার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অবস এন্ড গাইনীর সিজারসহ যেকোনো ধরণের অপারেশন করার আগে পূর্ব প্রস্তুতি ও অপারেশন চলাকালীন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন এবং অপারেশন পরবর্তী অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যথাযথ পদ্ধতির প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করার মাধ্যমে ৯০ ভাগ সংক্রমণই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস বলেন, পরিবশেগত কারণে, রোগীর নিজের শরীরের নানা সমস্যার কারণে, ভিজিটরদের কারণে রোগী সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন। এটা রোগীদেরকে দীর্ঘদিন ভোগ করতে হয়। এটা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সতকর্তা অবলম্বনসহ পূর্ব প্রস্তুতির বিকল্প নাই।
সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশন সিএমই প্রোগ্রামে অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সংক্রমণের বিভিন্ন কারণ ও বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার পাশপাশি রোগী অপারেশনের স্থল সংক্রমিত হলে কীভাবে রোগীকে সুস্থ করা যায় সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন ও প্রায়োগিক দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয়। সিএমই প্রোগ্রামে অবস এন্ড গাইনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, রেসিডেন্ট চিকিৎসক-ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা