রাকিবুল হক ইমিল
সম্প্রতি ধর্ষণ করার পর কিশোরগুলো লাইভে এসে উল্লাস করেছে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এরা ভেবেছে- একজন নারীকে ধর্ষণ করে এরা বীরত্ব দেখিয়েছে।
এমন লাইভ দেখে আপনারা অবাক হলেও আমি অবাক হইনি। ২০১৬ সালে সাভারে একটি কিশোর তার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি বীভৎস ভিডিও বানায়। সে ভিডিওধারণ করে এবং তার নির্দেশনায় আরেকজন কিশোর একটি বাচ্চা কুকুর ছানার পেছনের পা ধরে ৫৭ বার চরকীর মত ঘুরায়। এরপর আছড়ে, লাত্থি দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলে। শেষে ছেলেটি বলে তার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে।
এর বিরুদ্ধে ‘প ফাউন্ডেশন’ থেকে বাংলাদেশে কুকুর হত্যার বিরুদ্ধে বিচার পাওয়া প্রথম মামলাটা দায়ের করি আমি। আদালত রায় দেন মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা। ১৯২০ সালের আইনে ৩-৬ মাস কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও, কিশোরটি দোষ স্বীকার করলে আদালত লঘু শাস্তি দেন। ছেলেটি হাসিমুখে নেমে যায় কাঠগড়া থেকে।
নিরীহ প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং মানুষের প্রতি নির্মম আচরণ একটি আরেকটির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। এদেশে বহুবার ছাগল ধর্ষণের খবর প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু বিষয়গুলো হাস্যোরস হিসেবে নিয়েছে সমাজ।
অপরাধ প্রবণতাকে যতদিন আমলে না নিবে এই সমাজ, ততদিন অপরাধ সংঘটিত হওয়া থেকে নিস্তার পাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা ব্যক্তিদের দিকে কড়া নজরদারী এবং কাউন্সেলিং জোরদার করেছে।
Prevention is better than cure- এটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও প্রযোজ্য। আর আমার কাছে অপরাধী মানেই মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি। এবং এর জন্য সমাজ দায়ী।
# লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা