অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ‘কোভিড-এর ২য় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি প্রস্তুতি ও জরুরি অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি থাকলেও সে দেশের বর্তমান ভয়াবহ অবস্থার কারণে চুক্তি অনুযায়ী সব টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, টিকা নিতে রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের কথা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি হবে আমাদের। পাশাপাশি, চীন ১২ মের মধ্যে পাঁচ লাখ টিকা দিচ্ছে। চীন সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। দ্রুতই চীনের টিকা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত চলে আসবে। একই সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারত ছাড়া বিশ্বের অন্য যে দেশগুলো উৎপাদন করছে আমরা সেসব দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। সবমিলিয়ে আশা করা যায়, খুব দ্রুতই টিকার সঙ্কট কেটে যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি। এর মধ্যে ৭০ লাখ পেয়েছি, আর গিফট হিসেবে আরও ৩০ লাখ পেয়েছি। প্রথম ডোজ হিসেবে আমরা প্রায় ৬০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি। আর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আরও প্রায় ৩০ লাখ ডোজ দিয়েছি।’
‘এছাড়া অন্য যেসব দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। আমরা টিকা পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই ভালো সংবাদ দিতে পারব’, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনা পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে আজকে ভারতের এই পরিস্থিতি। আমাদের এখানেও ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের অবস্থাও ভারতের মতো হতে পারে। ঈদে নতুন জামা আনন্দ দিতে পারে তবে এই আনন্দ ট্র্যাজেডিতেও রূপান্তর হতে পারে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা