বরেণ্য অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
৮৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপককে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। সর্বশেষ তিনি নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শেষে জঙ্গিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়। সেদিন উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হয়ে হাতের আঙুল হারান অভিজিতের স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও। গত ২৮ অক্টোবর আদালতে গিয়ে ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধও করেছেন। মনেপ্রাণে তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তচিন্তার রাষ্ট্র চেয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি সবসময়ই বিজ্ঞানভিত্তিক মানবতাবাদী শিক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন।
অধ্যাপক অজয় রায়ের ‘বিজ্ঞান ও দর্শন, জড়ের সন্ধানে’, ‘আদি বাঙালি : নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’, ‘বাংলা একাডেমি বিজ্ঞানকোষ (প্রথম হতে পঞ্চম খণ্ড)’ সহ বহু গবেষণাধর্মী প্রকাশনা রয়েছে।
জীবদ্দশায় একুশে পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ম্যাথেমাটিকাল ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স কর্তৃক সম্মাননাসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা