অধ্যাপক অজয় রায় সব আন্দোলনে নির্ভয়ে ছুটে যেতেন। অজয় রায় ছিলেন আপাদমস্তক একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তিনি কর্মে সব সময় প্রগতিশীলতার কথা বলেছেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক, উদার গণতান্ত্রিক দেশের। তবে, ছেলে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ায় বেদনাহত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশিষ্টজনেরা একথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তচিন্তার জগতে তার বিশাল অবদান রয়েছে। আজকে অজয় রায় আমাদের মধ্যে আর নেই। তার লেখাগুলো আছে, তার বিশাল কর্মযজ্ঞ আছে। যা নতুন প্রজন্মের কাছে বিশাল প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞানচর্চায় তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। অধ্যাপক অজয় রায় একজনই তার কোনো বিকল্প নেই।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, অজয় রায়ের লেখায় বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশে গড়ে ওঠার কথা বলতেন। তিনি বাঙালির ইতিহাসে গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সার্বভৌমত্বের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি তার সময়ে ঢাবির শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ছিলেন।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, ছেলের মরদেহ কাঁধে নিয়ে বাবার সংগ্রাম বড় কঠিন। তার চলে যাওয়ায় প্রচণ্ড শূন্যতা গ্রাস করেছে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, আমি অজয় স্যারের প্রত্যক্ষ ছাত্রী। দীর্ঘ ৫০ বছর তার সঙ্গে আমার পরিচয়, উঠাবসা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সব সংগঠনের সঙ্গে তিনি সব সময় ছিলেন। তিনি সব আন্দোলনে নির্ভয়ে ছুটে যেতেন।
অধ্যাপক অজয় রায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাবির কার্জন হলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। সেখানে বিভাগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাবির জগন্নাথ হলে। সেখান থেকেই বারডেম হাসপাতালে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা