অনলাইন ডেস্ক
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সচিবালয়ে এ উদ্দেশ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষে ও নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করছে সরকার। আর এ জন্য বিদ্যমান অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে আশংকা করে প্রধানমন্ত্রী মাস্কের ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জোহর ও মাগরিবের নামাজের সময় মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করতে মসজিদের মাইকে প্রচার করতে বলেছেন তিনি। এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব মসজিদে জোহর ও মাগরিবের নামাজের সময় যেন ঘোষণা দেওয়া হয়, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এটা রাষ্ট্রীয় কল্যাণকর নির্দেশ।
সচিব জানান, মেডিকেল শিক্ষায় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা আইন ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে খুলনা বিভাগে মেডিকেল কলেজসহ চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন থাকবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে খুলনা বিভাগে একটা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটা প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনা অঞ্চলের মধ্যে যত মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট থাকবে সবই এই খুলনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় চলে আসবে।’
খসড়া আইনটিতে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার, ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে। পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা আইনটিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খল বোর্ড গঠন এবং এদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকবেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে চিকিৎসা ডিগ্রি ‘দ্যা মেডিকেল ডিগ্রি রহিতকরণ আইন-২০২০’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিব বলেন, মেডিকেল কলেজের ডিগ্রি ও মান সবকিছু নির্ধারিত হতো দ্যা মেডিকেল ডিগ্রি অ্যাক্ট ১৯১৬ এর মাধ্যমে। পরে ২০১০ সালে বিএমডিসি বা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ করা হয়। ১৯১৬ সালের আইনের যত প্রভিশন ও মেডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল সব ২০১০ এর আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দ্যা মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট ১৯১৬ এর কার্যকারিতা নেই। সেজন্য চিকিৎসা বিভাগ রহিত করার প্রস্তাব করেছে।’
এছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন-২০২০ সহ আরও দুটি অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা