বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়, ভিয়েতনাম যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সীমিত আকারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করে । এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রত্যুষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্্ বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনার সূত্রপাত করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন । ৩০ লক্ষাধিক শহীদদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষাধিক নারীর নির্যাতন ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তিনি বিনম্ভ্রচিত্তে ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে । বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের উপর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আলোকপাত করেন । তিনি বলেন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল । উল্লেখ্য যে ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ই মার্চ ২০২১ বাংলাদেশ সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে; যেটি জাতিসংঘ স্বীকৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচী পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে ভিয়েতনাম সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে (ক)বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু উপর মোরাল স্থাপন; (খ) ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ – ভাষণের ভিয়েতনামীজ ভাষায় অনুবাদ; এবং (গ) ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধু স্বারক ডাকটিকেট প্রকাশ। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে এবং ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সাথে কাজ করার আহব্বান জানান।
দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আলোচনাপর্বে বর্তমান বিশ্বে যে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত জীবনহানি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ও এই ঝুকিতে আছে, সে জন্য ১ মিনিট নিরবতা পালন করে সমবেদনা ও গভীর দূ:খ প্রকাশ করে। বাংলাদেশের জনগণসহ সারাবিশ্বে এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ থাকার জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে আহব্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
আক্রান্ত
৬৮৯৪৩৪৮৬১
সুস্থ হয়েছে
৬৬১৮৯০৮৪৯
মৃত
৬৮৮৩৭৭৭
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা