বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানের বাসায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি ৭ লাখ টাকা, ২৩ দেশের ৭৭ লাখ টাকা সমমূল্যের মুদ্রা, ৮ কোটি টাকার চেক ও হরিণের দুইটি চামড়া জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ ছাড়া তার বাসা থেকে বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ এ সেলিম প্রধানের বাসা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
সেলিম প্রধান রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের একজন। তার কাছে রাষ্ট্র মালিকাধীন এই ব্যাংকটির পাওনা প্রায় একশ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ছাপানোর কাজটি করত সেলিমের মালিকাধীন জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স। এছাড়া বিভিন্ন অফিসিয়াল কাগজপত্র তার প্রতিষ্ঠানে ছাপানো হতো।
র্যাব জানিয়েছে, সোমবার রাত ১০টা থেকে সেলিম প্রধানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি টিম। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় অভিযান শেষ হয়। সবমিলিয়ে র্যাব ওই বাসাটিতে ১৮ ঘণ্টা অভিযান চালায়।
এছাড়া সেলিম প্রধানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের বনানীর বাসা থেকে ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব।
এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে নামিয়ে আনে র্যাব-১-এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাকে নিয়ে মমতাজ ভিশনে অভিযানে যায় র্যাব।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান সেলিম প্রধানের অনলাইন ক্যাসিনো থেকে আয়ের অবৈধ টাকা তিনটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হত। এরপর সেসব টাকা হুন্ডি বা সঙ্গে করে বিদেশে পাচার করে আসছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, অনলাইনে ক্যাসিনো খেলতে হলে গ্রাহকের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়। সেসব টাকা তিনটি গেটওয়েতে জমা হত। খেলায় জিতলে টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যেত, অন্যথায় টাকাগুলো গেটওয়েতে থেকে যেত।
সেলিম প্রধানের সহকারী মো. আক্তারুজ্জামান প্রতি সপ্তাহে সেসব গেটওয়ের টাকা তুলে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। এরপর সেসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বা ব্যক্তির সঙ্গে করে বিদেশে পাচার করা হত।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সেলিম প্রধানের সঙ্গে কারা অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সখ্যতা ছিল। তাকে বিএমডাব্লিউ গাড়িও গিফট করেছিলেন সেলিম। এছাড়া আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্নভাবে লন্ডনেও টাকা পাঠিয়েছেন তিনি।
কি পরিমাণ টাকা লন্ডনে পাচার হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা গেটওয়ে থেকে প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এমন আরও কিছু গেটওয়ে রয়েছে, সেগুলো আমরা যাচাই করে দেখছি।
লন্ডনে পাচারকৃত টাকা তারেক রহমানের কাছে যেত কিনা জানতে চাইলে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা