ফাগুনের আগুনঝরা দিনে দেখা তাঁদের হবে না।বিয়ের পরে প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে! কী করবেন মিথিলা? শিল্পের আঙিনায় ভিন্ন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি।
‘‘ভ্যালেন্টাভ্যাইন ডে-র কথা মাথায় রেখেই আমার টেলিড্রামা আসছে ‘প্রাইসলেস’। তবে এ বার সৃজিত যখন ঢাকায় এসেছিল আমরা বাংলাদেশের মিডিয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে প্রচুর গল্প করেছি। আমি তো ওর সাক্ষাৎকারও নিয়েছি’’উত্তেজিত মিথিলা।
জাফরিন সাদিয়ার রচনায় মিথিলার এই টেলিড্রামা পরিচালনা করেছেন গৌতম কৈরী।
‘‘আসলে এখানে পঁচিশ আর পঞ্চান্ন দুই ভিন্ন বয়সের চরিত্র করছি আমি। এই বেশি বয়সের চরিত্র করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল আমার। ভাবছিলাম আমায় মানাবে তো! আমি আমার আম্মুকে খুব দেখেছি এই চরিত্র করার সময়। আম্মু আমার চেয়ে বিশ বছরের বড় তো…’’মিঠে সুরে ঢাকা থেকে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন মিথিলা।
এই টেলিড্রামায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। এছাড়া বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে মিথিলার ছোট বোন ইফফাত রশিদ মিশৌরিকে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অভিনয় ক্ষমতাকে মেলে ধরলেও মিথিলার রোজের কাজের ধারা যদিও সম্পূর্ণ আলাদা।
ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করেন মিথিলা।বললেন ‘‘ওটাই আমার প্যাশন। এনজিও সেক্টরে যদি কাজ করতেই হয় মাঠে নেমে কাজ না করে কোনও লাভ নেই। আমি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশানালের হয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের ওপর কাজ করছি। গর্ভাবস্থা থেকে আট বছরের শিশু আমার কাজের আওতায় পড়ে।তানজানিয়া, আফ্রিকা আমার কর্মক্ষেত্র। আমাকে প্রায়ই আফ্রিকা যেতে হয়।’’
আর কলকাতা? প্রশ্ন শুনে হেসে উঠলেন মিথিলা। ‘‘সময় পেলেই এক-দু দিনের জন্য সৃজিতের সঙ্গে দেখা করে আসি। ও চলে আসে। আর এই একসঙ্গে থাকার দিনগুলোই আমার ভ্যালেন্টাইন ডে’’বুঝিয়ে দিলেন মিথিলা।
বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে-র উপহার হিসেবে কিছু ভেবেছেন কী? ‘‘আমাদের যেহেতু একসঙ্গে থাকার দিনগুলোই ভ্যালেন্টাইন ডে তাই ওই সময় সৃজিত আমায় যা দিয়েছে সেটাই আমার ভ্যালেন্টাইন গিফ্ট। ধরুন আমরা শপিং এ গেলাম, সৃজিতের শাড়ি খুব প্রিয় ও পছন্দ করে কিনে দিল…’’ দুই পরিণত মনের ভ্যালেন্টাইন বুঝি এমনই হয়।
আপাতত বাংলাদেশের মিডিয়া সৃজিত আর মিথিলার ভ্যালেন্টাইন ডে’র গল্প নিয়ে সরগরম।‘‘আমাদের বিয়ের খবরের সবটাই ভারত থেকে প্রকাশিত হয়েছিল তাই এ বার ভ্যালেন্টাইন ডে-র গল্প আড্ডা আমরা বাংলাদেশ মিডিয়ার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি’’জানালেন মিথিলা।
প্রথম প্রেম দিবসে উপহার দেওয়া-নেওয়ার বিষয় কী থাকছে? ‘‘সময়! আমি আর সৃজিত সময় খুঁজে বেড়াই। এই ভালবাসার দিনে আমার মনে হয় সৃজিত আর আমি যে উপহার একে অপরকে দিতে চাই তা হল সময়…’’ এই সময় কী বলছে? সৃজিতের ছবিতে মিথিলাকে কবে দেখতে পাব আমরা?
‘‘বিয়ের পর সারাক্ষণ এই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি আমি। আমার সঙ্গে মানানসই কোনও চরিত্র পেলে সৃজিত নিশ্চই বলবে আমায়। তখন একসঙ্গে কাজ করব। তবে জোর করে আমি যেমন ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে সৃজিতের কোনও কাজের কথা বলব না তেমনি সৃজিতও হঠাৎ ছবিতে আমায় কাস্ট করবে না’’ জানিয়ে দিলেন মিথিলা। মিথিলার হাত ধরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু কাল আগের সৃজিতের পোস্টে লেখা ছিল,‘‘খোদার কসম জান আমি ভালোবেসেছি তোমায়…’’
সেই ভালবাসার সঙ্গ করেই দুই পারের বাংলায় মন ছুঁয়ে আছেন এই দুই মানুষ। ‘‘বন্ধুতা ভরসা আর ভালবাসা…আমার কাছে এটাই প্রেম’’ও পার থেকে দূরভাষে বলে ওঠেন মিথিলা যাঁর প্রেমের নাম সৃজিত।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা