ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক দুঘর্টনায় মঙ্গলবার ১৩জন নিহত হয়েছে।
দেশের ছয় জেলা চুয়াডাঙ্গা, যশোর, চাঁদপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দর্শনা ও নয়মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুলফিকার আলী (৪২) ও ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার মেহেদী হাসান পলাশ (৩৪)।
মোটরসাইকেলযোগে জীবননগরের উদ্দেশে যাওয়ার পথে দর্শনার ফিলিং স্টেশন এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী জুলফিকার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পথে নয়মাইল এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের সাথে পলাশের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পলাশ রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় বাসচাপায় এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের মল্লিকপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মল্লিকপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে ইফাত আরা তৈয়েবা (৯) ও আলম হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম ( ৩২)।
সকালে সাতক্ষীরাগামী একটি বাস মল্লিকপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী তরিকুল ও পথচারী ইফাত মারা যায়।
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া বাজার এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে পিকআপভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু তাহের (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় নিহতের ছেলে রায়হান মিয়াজী (৩২) ও তার স্ত্রী ইভা রহমান সুলতানা (২২) এবং জাকির হোসেন (৪৫) নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত ও আহতরা লক্ষীপুর উপজেলা সদরের চররুহিতা এলাকার বাসিন্দা।
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও এক ইজিবাইক চালকসহ তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাতেঘরিয়া গ্রামে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুজন নিহত ও একজন আহত হন।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার মনু মিয়ার ছেলে মোটরসাইকেল চালক হেকমত মিয়া (১৮) ও সাবদুল মিয়ার ছেলে আজিজ মিয়া (১৭)। তারা দুজন চাচাত-জ্যাঠাত ভাই। আহত ফারুক মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়াকে (১৭) শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, নালিতাবাড়ী উপজেলার ধারা সড়কের গোজাকুড়া এলাকায় বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে চালক আব্দুল কাদির (৬০) নিহত হন। নিহত কাদির নালিতাবাড়ীর উত্তর কাপাসিয়া গ্রামের মৃত জিন্নত আলীর ছেলে।
এদিকে সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে জাহাঙ্গীর বারু (৩৮) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চড় কৃষ্ণপুর গ্রামে।
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসটি সকালে কালামপুর পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খোলা জায়গায় উল্টে যায়। এসময় জাহাঙ্গীর চাপা পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের গাঙ্কুলপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের গাঙ্কুলপাড়া মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনায় নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন সদর উপজেলার অষ্টবর্গ গ্রামের লস্কর মিয়ার ছেলে আব্দুল বারিক (৪২)।
সন্ধ্যায় অনন্যা পরিবহনের দুটি বাস গাঙ্কুলপাড়া মাদরাসার সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৩২ জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। এর মধ্যে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা